কতিপয় সুখের খোঁজে বের হওয়া কোনো এক অচেনা অতিথিই একটা সময় কোনো একজনকে প্রশ্ন করলো তোমায় ফিরে পাবো?
তরুণ নির্মাতা জাহিদ প্রীতম তার বুক পকেটের মাঝে কিছু গল্প লুকিয়ে রেখেছিলেন যে গল্পগুলো দেখার পর আমার নিজের যত্ন করে আগলে রাখা কিছু অনুভূতিও ওই গল্পগুলোর মাঝে বন্দি হয়ে গেছে। জাহিদ প্রীতম তার ফিকশনের মাধ্যমে কোনো কাল্পনিক গল্প কখনো দর্শকদের বলেন না, বরং তিনি সবসময় মানুষের জীবন থেকে গল্প সংগ্রহ করে সেই গল্পগুলোই দর্শকদেরকে শোনান। আর ওই গল্পগুলোই একটা সময় অসংখ্য দর্শকের স্মৃতির মাঝে গেঁথে যায়।
"বুক পকেটের গল্প"৷ জাহিদ প্রীতমের নির্মাণ করা এই ফিকশনটার মাঝে একটা নয়, বরং এই ফিকশনটার মাঝে একসাথে তিনটা ভালোবাসার গল্প লুকিয়ে রয়েছে যে গল্পগুলোর মাঝে দর্শকরা অনেক মানুষের বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবিটাকে দেখতে পাবে। এবার একদম এককথায় যদি বলতে হয় তবে বলবো বুক পকেটের মাঝে বন্দি করে রাখা ওই গল্পগুলোর মাধ্যমে আসলে মানুষের ভালোবাসার নানান রকমের রূপই দর্শকদেরকে দেখিয়েছেন নির্মাতা জাহিদ প্রীতম।
"বুক পকেটের গল্প" নামের এই ফিকশনটার মাঝে যেমন চমৎকার কিছু গল্প লুকিয়ে ছিল তেমনি এই ফিকশনটাতে কিছু প্রতিভাবান অভিনয়শিল্পীর অভিনয়ও ছিল দেখার মতো। ফিকশনটাতে শাশ্বত দত্ত, মারিয়া হোসেন শান্ত, আইশা খান, প্রিয়ন্তী উর্বি কিংবা আবু হুরায়রা তানভীর এই সব অভিনয়শিল্পীই ভীষণ সুন্দর অভিনয় করেছেন। তবে অভিনেতা মীর রাব্বির অভিনয়ের সৌন্দর্যটা আলাদাভাবে আমার নজর কেড়েছে। ফিকশনটা দেখার সময় এই অভিনেতার কন্ঠে অসাধারণ কিছু সংলাপ শুনতে আমার ভীষণ ভালো লাগছিলো। আর সেকারণে তার বলা কিছু সংলাপ যেনো এখনো আমার কানে বাজছে। পাশাপাশি মীর রাব্বি এই ফিকশনটাতে অভিনয়টাও খুব সুন্দর করে করেছেন। এছাড়া ফিকশনটার সিনেমাটোগ্রাফি, কালার গ্রেডিং কিংবা ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকের কাজও ভীষণ সুন্দর ছিল। ফিকশনটার মাঝে এমন একটা শ্রুতিমধুর গান রয়েছে যে গানের প্রতিটা কথাই হয়তো দর্শকদের বারবার শুনতে ইচ্ছে করবে।
সব হিসাব নিকাশ খুব নিখুঁতভাবে মিলিয়ে নির্মাতা জাহিদ প্রীতম এবার খুব সুন্দর করে তার বুক পকেটের মাঝে বন্দি থাকা গল্পগুলো দর্শকদেরকে শুনিয়েছেন। আর জাহিদ প্রীতমের বুক পকেটের মাঝে বন্দি থাকা ওই গল্পগুলো হয়তো আমার বুক পকেটের মাঝেও রয়ে যাবে অনেকদিন।
ফিকশন : বুক পকেটের গল্প।
নির্মাতা : জাহিদ প্রীতম।
সূত্রঃ সিনেকথন।