বাংলাদেশের বর্তমান তাপপ্রবাহ সতর্কতা ও করনীয়
তাপদাহ চলাকালীন পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে তাপমাত্রা ৪৩ডিগ্রী এর উপরে উঠে যাবে। অন্যান্য অঞ্চলে যথারীতি তীব্র তাপপ্রবাহ (৪০-৪২ডিগ্রী) অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশের চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ার বৈশিষ্ট সমপন্ন কিছু এলাকাঃ
রাজশাহী বিভাগের সকল জেলা ও রংপুর বিভাগের শতকরা ৯০ শতাংশ এলাকা ও খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, যশোর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকা গুলো চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া এর ভেতরে পড়ে।
চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া মানে হলো শীতের সময় অনেক শীত, আবার গরমের সময় প্রচুর গরম, আবার বছরের কয়েকটি দিনে দেখাযায় দিন ও রাতের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ভেতরে অনেক পার্থক্য।
উধাহরণস্বরূপ, গরমের সময় অধিকাংশ সময়ই দেখাযায় চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেশি রেকর্ড করা হয়, আবার শীতকালে এই চুয়াডাঙ্গা জেলায় অধিকাংশ সময় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেশি রেকর্ড করা হয়।
আসলে এইসকল এলাকার আবহাওয়া পুরোপুরি মরুভূমির আবহাওয়ার মতো না হলেও মরুভূমির আবহাওয়ার অনেক বৈশিষ্টের সাথে মিলে যায়।
আসলে শীতকালে এইসকল এলাকা দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ দেশে ঢোকে বলে এতো বেশি শীত পড়ে।
অপরদিকে গরমকালে ভারতের বিহারের উচ্চচাপ বলয় থেকে গরম বাতাস এইসকল এলাকায় প্রবেশ করে প্রচন্ড তাপপ্রবাহের সৃষ্টি করে।
আবার বিহারের এই উচ্চচাপ থেকে আগত বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমান বেশ কম থাকায় দিনে প্রচন্ড গরম পড়ে ও রাতে তাপমাত্রা হটাৎ পড়ে গিয়ে শীত পড়ে, যা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকর।
দেশের উপকূলীয় এলাকা ও সিলেট বিভাগের আবহাওয়া বেশ মৃদুভাবাপন্ন, মানে হলো এখানে দিন ও রাতের তাপমাত্রার তারতম্যের পার্থক্য এতো বেশি হয় না।
নোট : যাহোক আগামী ৩০ এপ্রিল ২০২৪ থেকে দেশের সার্বিক তাপমাত্রা কিছুটা কমে বৃষ্টিপাত হতে পারে। তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে পারে।
সূত্রঃ Bangladesh Weather Observation Team (BWOT)