বিলিয়নিয়ারদের যত শহর...

 বিলিয়নিয়ারদের যত শহর...

বিশ্বের অর্থনীতির তথ্য থেকে বোঝা যায়, সমগ্র বিশ্বে মাত্র গুটিকয়েক অতি-ধনী ব্যক্তি বৈশ্বিকঅর্থনীতিকে আগের চেয়ে সমৃদ্ধিশালী করেছেন। ফোর্বসের তথ্য অনুসারে, বিশ্বে এখন বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা ৩ হাজার ২৭৯।  যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থাৎ বিশ্বের প্রায় ৪২ শতাংশের বেশি অতি-ধনী ব্যক্তিরা বসবাস করেন মাত্র এই ১০টি শহরে...

 

বিশ্বের প্রথম ১০টি ধনীদের শহরের তালিকায় ভারতের দুই শহর

ভারতের কাছে হেরে গেল চীন! বেইজিংকে টপকে ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানীখ্যাত মুম্বাই পেয়েছে এশীয় বিলিয়নিয়ারদের রাজধানীর তকমা। এক বিশেষ সমীক্ষায় দেখা গেছে, মুম্বাই শহরে এখন এশিয়ার শীর্ষ বিলিয়নিয়ারদের বসবাস। ‘হুরুন গ্লোবাল রিচ লিস্ট ২০২৪’ শীর্ষক তালিকাটিতে এ তথ্য পাওয়া গেছে। চীনের সাংহাই-ভিত্তিক ‘হুরুন রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ তালিকাটি করেছে। তালিকা অনুসারে, বৈশ্বিক ধনীদের শহরের নিরিখে মুম্বাই এখন সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বিলিয়নিয়ারসহ এশিয়ার রাজধানী। এই প্রথম ভারতের সবচেয়ে জনবহুল শহরটি ধনীদের শহরের হিসাবে এশিয়ার শীর্ষস্থান দখল করেছে। ২০২৪ সালের তালিকার শীর্ষে রয়েছে নিউইয়র্ক (১১৯), তারপরে লন্ডন (৯৭)। এশিয়ায় মুম্বাই শহরটি ভারতের অর্থনৈতিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত। এই শহরে মোট ৯২ বিলিয়নিয়ারের আবাসস্থল। এরপরেই বেইজিং (৯১), সাংহাই (৮৭), হংকং (৬৫) এবং মস্কোর (৫৯) অবস্থান। এদিকে তালিকার শেষে ভারতের রাজধানী শহর দিল্লি (৫৭) এবং সানফ্রান্সিসকো (৫২)।

এক প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, বিশ্বব্যাপী ৩ হাজার ২৭৯ অতিধনী (বিলিয়নিয়ার) রয়েছে, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ধনী শহরের নিরিখে আমেরিকার নিউইয়র্ক প্রথম অবস্থানে থাকলেও ধনী দেশের হিসাবে ৮১৪ বিলিয়নিয়ারদের নিয়ে চীন তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে। যদিও দেশটি গত এক বছরে ১৫৫ বিলিয়নিয়ার হারিয়েছে। ৮০০ বিলিয়নিয়ারের আবাসস্থল হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় স্থানে এবং ২৭১ বিলিয়নিয়ার নিয়ে ভারতের অবস্থান তৃতীয় স্থানে। ভারতের রাজধানী দিল্লি এই প্রথম ধনী ১০ শহরের তালিকায় নাম লেখাল। এখানেই শেষ নয়, ভারতের অর্থনৈতিক রাজধানী মুম্বাইও আছে তালিকায়। সেই শহরে অর্থনৈতিক দিক থেকে দ্রুত অগ্রগতি হচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।  ভারতে অতি-ধনীদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন মুকেশ আম্বানি। আছেন আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা গৌতম আদানিও। এদিকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো, ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া, জাপানে অর্থনৈতিক উন্নতি ভালোই হচ্ছে। তবে অর্থনীতির বিকাশের ফলে বিলিয়নিয়ারের সংখ্যাও বেড়েছে এশিয়ার দেশ ভারতে। এবারের তালিকায় ভারতের আরও ৯৪ জন অতি-ধনী যুক্ত হয়েছেন। দেশটির মোট বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭১ জনে। ২০১৩ সালের পরে অতি-ধনীর নিরিখে এটিই  সর্বোচ্চ সংখ্যা।

মনে করা হচ্ছে, একাধিক বড় শিল্প গড়ে উঠেছে ভারতে। ওষুধ কোম্পানির জেরে অন্তত ৩৯ জন ধনকুবের হয়েছেন ভারতে। অটোমোবাইল ও অনুসারী শিল্পগুলো অন্তত ২৭ জনকে ধনকুবের তৈরি করেছে। কেমিক্যাল সেক্টরে বড়লোক হয়েছেন অন্তত ২৪ জন। সব মিলিয়ে ভারতের এই ধনকুবেরদের মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থাৎ গোটা বিশ্বে যত ধনকুবের রয়েছেন তাদের যে মোট সম্পদ তার ৭ শতাংশ হলো ভারতের ধনকুবেরদের মোট সম্পদের সমান। এককথায় সম্পদে, ঐশ্বর্যে যে ভারত এবার বিরাট টক্কর দিচ্ছে বিশ্বের ধনকুবেরদের শহরের মধ্যে সেটা বলাই যায়।

 

নিউইয়র্ক [১১৯ বিলিয়নিয়ার]

ধনী শহরগুলোর ক্ষেত্রে নিউইয়র্ক এখনো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বের নেতৃত্ব দেয়। ২০২২ সালে এই নেতৃত্ব হারালেও পরবর্তী বছরে অর্থাৎ ২০২৩ সালে সেই অর্জনটি আবারও দখল করে আমেরিকার নিউইয়র্ক। ২০২৪ সালেও একই তকমা ধরে রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শহরটি। নতুন ১০৯ জন বিলিয়নিয়ার যোগ হয়েছে নিউইয়র্ক শহরে। এখন এই শহরে ১১৯ জন অতি-ধনীর আবাসস্থল। ‘হুরুন রিসার্চ ইনস্টিটিউট’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অতি-ধনী ব্যক্তিদের বৃদ্ধির জন্য উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে। ব্লুমবার্গের বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী বলা হয়েছে যে, অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস এবং টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক আমেরিকার শীর্ষ দুই অতি-ধনী ব্যক্তি। যাদের মোট সম্পদের পরিমাণ যথাক্রমে প্রায় ২০১ বিলিয়ন এবং ১৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজারের বেশি ধনী এবং শতাধিক অতি-ধনবান ব্যক্তিদের নিয়ে ‘বিগ অ্যাপল’খ্যাত নিউইয়র্ক সিটি সমগ্র আমেরিকার সবচেয়ে ধনী শহর।

 

লন্ডন [৯৭ বিলিয়নিয়ার]

২০০০ সালের দিকে ইংল্যান্ডের লন্ডন শহরটি ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ধনবান ব্যক্তিদের আবাসস্থল। কিন্তু দুই দশক পেরিয়ে ব্রিটিশ রাজপরিবারের এই শহরটি তালিকার নিচে নেমে গিয়েছিল। এই তো ২০২২ সালের কথা! সেবার ধনী শহরের তালিকায় ৪ নম্বরের নিচে নেমে গিয়েছিল লন্ডন। তবে বর্তমানে ‘লন্ডন সিটি’ অতি-ধনীদের শহরের তালিকায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে। ব্লুমবার্গের বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী বলা হয়েছে, লন্ডনে আড়াই লাখের বেশি ধনী ও অতি-ধনী ব্যক্তির আবাসস্থল। লন্ডনের বেলগ্রাভিয়া, মেফেয়ার, হ্যাম্পস্টেড, চেলসি, নাইটসব্রিজ, রিজেন্টস পার্ক এবং সেন্ট জনস উড ছিল এক সময়ের বিশ্বের সবচেয়ে ধনী আবাসিক শহরতলি। বর্তমানে এই শহরে ৯৭ জন বিলিয়নিয়ারের বসবাস। শহরটি বিভিন্ন জাতি, সংস্কৃতি এবং ধর্মের অনেক লোকের জন্য স্বপ্নের গন্তব্য। লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেস, টাওয়ার ব্রিজ, লন্ডন আই এবং বিগ বেন ওয়াচ জনপ্রিয় পর্যটন স্থান। যতদূর বাণিজ্য যায়, শহরটি আর্থিক ও ব্যাংকিংয়ে সমৃদ্ধ হয়।

 

মুম্বাই [৯২ বিলিয়নিয়ার]

এশিয়া মহাদেশের অতি-ধনী ব্যক্তিদের রাজধানী শহর এখন ভারতের মুম্বাই। এই প্রথম ভারতের সবচেয়ে জনবহুল শহরটি ধনীদের শহরের নিরিখে এশিয়ার শীর্ষস্থান দখল করেছে। ৩১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের সম্পদ নিয়ে মুম্বাই শহর ২০২৪ সালে ভারতের ধনী শহরগুলোর মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করছে। ভারতের বাণিজ্যিক এই শহরটি ‘গেটওয়ে অব ইন্ডিয়া’, ‘মেরিন ড্রাইভ’, ‘দ্য তাজ হোটেল’, বিভিন্ন স্মৃতিস্তম্ভ এবং অসাধারণ হাউসিং সোসাইটিগুলোর জন্য বিখ্যাত। স্টক মার্কেটের জন্য এখানে রয়েছে ‘বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ’ এবং ‘ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ’। যা ভারতের রাজস্বের ৬.১৬ শতাংশ পর্যন্ত অবদান রেখে আসছে। এর বাইরেও মুম্বাই সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি, অর্থনীতি ও প্রযুক্তি খাত ভারতের অর্থনীতিতে বিশাল ভূমিকা পালন করছে। ভারতে অতি-ধনীদের শীর্ষে আছেন মুকেশ আম্বানি ও আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা গৌতম আদানি।

 

বেইজিং [৯১ বিলিয়নিয়ার]

চীনের রাজধানী বেইজিং যে কোনো শহরের তুলনায় অতি-ধনী বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখে আসছে। শহরটি ২০২১ সালের ১ নম্বর স্থান থেকে ২০২২ সালে ২ নম্বরে নেমে গেছে, ২০২৩ সালে তৃতীয় এবং ২০২৪ সালে চতুর্থ স্থানে অবতরণ করেছে। বর্তমানে চীনের এই শহরটি ৯১ অতি-ধনীর আবাসস্থল। ‘হুরুন রিসার্চ ইনিস্টিটিউট’-এর তথ্যমতে, বিগত বছরে চীনে সম্পদ বৃদ্ধি গভীর পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে। রিয়েল এস্টেট এবং নবায়নযোগ্য সম্পদ থেকে বিলিয়নিয়ারদের সম্পদ কমে গেছে। এর পরও বহু কাঠখড় পুড়িয়ে শহরের শীর্ষ ধনীর খেতাব নিজের দখলে নিয়েছেন টিকটক-মালিকানাধীন বাইটড্যান্স-এর প্রতিষ্ঠাতা ঝ্যাং ইমিং।

 

সাংহাই [৮৭ বিলিয়নিয়ার]

চীনের সাংহাই সিটি- অতি আধুনিক নগরী। এটি বিশ্বের অন্যতম ধনী শহর। এটি আঞ্চলিক গুরুত্ব, সংস্কৃতি, জীবন এবং অর্থনৈতিক প্রভাবে সমগ্র এশিয়া মহাদেশেই শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে। ই-কমার্স খাতে প্রবৃদ্ধি অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে সাংহাই বিশ্বের বৃহত্তম বন্দরে পরিণত হয়েছে। সাংহাই চীনের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী শহর এবং বিশ্বে পঞ্চম শীর্ষ ধনী শহরের তকমা অর্জন করেছে। চীনের অর্থনৈতিক এই অঞ্চলটি ধনবানদের সুরক্ষিত শহর হিসেবে তার অবস্থান ধরে রেখেছে। সাংহাই চারটি বড় পণ্য ডেলিভারি কোম্পানির বসতবাড়িও। যাদের মধ্যে অন্যতম আলিবাবা। চীনের সাংহাইয়ের মোট সম্পদের পরিমাণ ২৫৯ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। এই শহরের সবচেয়ে ধনী বাসিন্দা কলিন ঝেং হুয়াং, তিনি একজন ই-কমার্স উদ্যোক্তা। যার মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৩৭ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার।

 

শেনজেন [৮৪ বিলিয়নিয়ার]

চীনের ‘সিলিকন ভ্যালি’ হিসেবে খ্যাত শেনজেন নগরীতে অতি-ধনী ব্যক্তিদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এটি শীর্ষ ধনবানদের জন্য অত্যন্ত সুরক্ষিত শহর হিসেবে তার অবস্থান ধরে রেখেছে। ১৯৮০-এর দশকে চীনা অর্থনৈতিক সংস্কারের সময় শেনজেন একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে রূপ নেয়। পরবর্তীতে শেনজেন অর্থনৈতিক এবং পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে। শহরের প্রতিটি ব্যবসায়ী একজন স্ব-নির্মিত ধনী। তাদের একজন হুই কা ইয়ান। তিনি শহরের দ্বিতীয় ধনী বাসিন্দা। এ ছাড়া ফ্র্যাঙ্ক ওয়াং ডর্ম রুম প্রতিষ্ঠার পর ২০১৬ সালে সমগ্র বিশ্বের প্রথম ড্রোন বিলিয়নিয়ার হয়েছিলেন। চীনের শেনজেনের সবচেয়ে ধনী বাসিন্দা মা হুয়াটেং। তিনি টেনসেন্টের প্রধান নির্বাহী। ধনকুবেরদের শহরের তালিকায় ষষ্ঠ স্থান দখল করে আছে চীনের এই শেনজেন সিটি। যেখানে ৮৪ জন ধনাঢ্য ব্যক্তি বসবাস করেন।

 

মস্কো [৫৯ বিলিয়নিয়ার]

ইউক্রেনের যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি ও রাশিয়ার অনেক ধনী ব্যক্তির বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর রয়েছে। কিন্তু মস্কো এখনো ধনী শহরের তালিকায় সগৌরবে সেরা দশে অবস্থান করছে। রাশিয়ার এই রাজধানী শহরটিতে ৫৯ অতি-ধনী ব্যক্তির আবাসস্থল। যুদ্ধের সময়েও শহরের নাগরিকদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে, বেশ কয়েকজন ধনী ব্যক্তিদের তালিকা থেকে ছিটকে পড়েছেন। তবে নিউইয়র্কের ধনী শহরের তালিকায় আসার আগে মস্কো বিশ্বের এক নম্বর ধনী শহর ছিল। প্রায় সব রাশিয়ান বিলিয়নিয়ারই দেশটির এই রাজধানী শহরে বসবাস করতেন। মস্কো পাঁচ বিলিয়নিয়ারের আবাসস্থল; যা মার্কিন ট্রেজারি দ্বারা অনুমোদিত। এটি রাশিয়ার সবচেয়ে জনবহুল শহর। যার মোট সম্পদের মূল্য ৪২০ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার এবং ধনী বাসিন্দা আলেক্সি মোর্দাশভ।

 

হংকং [৬৫ বিলিয়নিয়ার]

বিশ্বের ধনী শহরের তালিকায় চীনের স্বায়ত্তশাসিত আরেকটি অঞ্চল হংকং। এটি বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক বন্দর। বিশ্বের ধনী শহরের তালিকায় এটির অবস্থান অষ্টম স্থানে। কেননা এখানে ৬৫ জন ধনকুবেরের বসবাস। দুঃখজনক হলেও এখানে কয়েকজন ধনী তাদের ধনকুবেরের তকমা হারিয়েছেন। এর কারণ হিসেবে বৈশ্বিক অস্থিতিশীলতাকেই দায়ী করছেন হংকংয়ের ব্যবসায়ীরা। তবে দেশটির হাউজিং প্রকল্পে (রিয়েল এস্টেট) মন্দা ও দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে চীনের হস্তক্ষেপ থাকা সত্ত্বেও হংকং ধনী শহরের তালিকার শীর্ষ দশে অবস্থান করছে। এখানে কিছু রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীর বাড়ি। এক সমীক্ষা বলেছে, হংকংবাসীরা ২০১৯ সালে আবাসিক রিয়েল এস্টেটের দাম কমার আশা করছিলেন। হংকংয়ের মোট সম্পদের পরিমাণ ৪৪৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার। ধনী বাসিন্দা হলেন লি কা-শিং।

 

দিল্লি [৫৭ বিলিয়নিয়ার]

৫৭ জন অতি-ধনী ব্যক্তিদের নিয়ে ভারতের রাজধানী দিল্লি শীর্ষ ধনী শহরের তালিকায় নবম স্থান অর্জন করেছে। ২৯৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার জিডিপি নিয়ে এটি ভারতের দ্বিতীয় ধনী শহর। ভারতের জিডিপিতে ৪ দশমিক ৯৪ শতাংশ অবদান রাখছে এই রাজধানী শহর। লাল কেল্লা, কুতুব মিনার, লুটিয়েন্স গার্ডেন ইত্যাদি ঐতিহাসিক স্থাপনা ভারতীয় রাজস্ব আয়ে বিরাট ভূমিকা পালন করছে। দিল্লি শীর্ষ দশের তালিকায় একেবারেই নতুন। দিল্লির ধনাঢ্য ব্যক্তিদের মধ্যে লাল আগরওয়াল অন্যতম। যিনি দিল্লি-ভিত্তিক হলদিরাম স্ন্যাকস কোম্পানিটি পরিচালনা করেন। সেই সঙ্গে সরোজ রানি গুপ্তা দিল্লির আরেক ধনী, যিনি এপিএল অ্যাপোলো টিউবগুলোর সহ-প্রতিষ্ঠাতা। এই শহরটি খুচরা বাজার, পর্যটন এবং প্রযুক্তির মতো খাতে কাজের সুযোগের পাশাপাশি লোকের জীবনের মান উন্নয়নে ভূমিকা পালন করছে।

 

সানফ্রান্সিসকো [৫২ বিলিয়নিয়ার]

প্রযুক্তির শহর সানফ্রান্সিসকো। যদিও এই প্রযুক্তি জগৎ নতুন করে হাবের ফাটল দেখাতে শুরু করেছে। সিলিকন ভ্যালির বাড়ি এবং টেক দুনিয়ার অতি-সমৃদ্ধ সানফ্রান্সিসকো এবার ৫২ বিলিয়নিয়ার নিয়ে শীর্ষ তালিকায় দশম স্থানে অবস্থান করছে। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী শহর। সিলিকন ভ্যালি আমেরিকার প্রযুক্তি স্বর্গ। যার কেন্দ্রবিন্দু হলো- এই সানফ্রসন্সসকো। পিন্টারেস্ট, এয়ারবিএনবি এবং উবারের মতো ডিজিটাল কোম্পানিগুলোর আবাসস্থল এই শহর। এর মোট সম্পদের পরিমাণ ১৯০ বিলিয়ন ডলার। সবচেয়ে ধনী বাসিন্দা ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ডাস্টিন মস্কোভিটস।

 লেখাঃ আবদুল কাদের।

সূত্রঃ দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন/পত্রিকা/বাংলাদেশ।

Previous Post Next Post
atOptions = { 'key' : 'ff715ba50c059c742bfea5af35b4aa55', 'format' : 'iframe', 'height' : 50, 'width' : 320, 'params' : {} };